রহমত নিউজ 05 August, 2024 08:48 PM
ছাত্র-জনতা মিলে অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই ছাত্র–জনতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি রূপরেখা জাতিরর সামনে উপস্থান করা হবে। সেখানে ফ্যাসিবাদীদের দোসর–সমর্থক কেউ এই জাতীয় সরকারে থাকতে পারবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে আজ সোমবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর সন্ধ্যায় প্রথম একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কথা বলেছেন নাহিদ ইসলামসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয়জন সমন্বয়ক।
সমন্বয়কেরা বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন চান উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে যাতে আর কখনো ফ্যাসিবাদী, স্বৈরতান্ত্রিক বা আরেকটি শেখ হাসিনার জন্ম না হয়, সেই ব্যবস্থা তাঁরা প্রতিষ্ঠা করতে চান।
সেখানে আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেমন হবে, সে বিষয়ে রাত ৮টায় কারওয়ানবাজারের সার্ক ফোয়ারায় সংবাদ সম্মেলন করে একটি রূপরেখা তাঁরা তুলে ধরবেন। গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় যেদিন এক দফার ঘোষণা দেওয়া হয়, সেদিনই তাঁরা বিজয় সুনিশ্চিত ভেবেছিলেন। যতদিন তাঁদের সব দাবি পূরণ না হবে ততদিন তাঁরা রাজপথে থাকবেন।
নিজেদের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই গত ১৬ বছরে যত রাজনৈতিক নেতা–কর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়েছে, তাঁদেরকে মুক্তি দিতে হবে। এছাড়া সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সমন্বয়কেরা জানান, তাঁরা দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে চান। সব কিছুর পুনর্গঠন করা হবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে হবে।
আন্দোলন সফল করার জন্য বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে কৃতিত্ব দেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, আমরা হয়তো শুরু করেছিলাম, কিন্তু সাধারণ মানুষের উপস্থিতি না হলে এটা সম্ভব হতো না।’ সকালেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চাঁনখারপুল এলাকায় সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে আসিফ বলেন, সেখানে সমন্বয়কদের দিকেও তাক করে গুলি ছোঁড়া হয়েছে। ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছেন বলে তাঁরা এখানে আসতে পেরেছেন। এই আন্দোলন আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণের কারণেই সফল হয়েছে।